সরকার দুর্যোগ মোকাবেলায় আগাম প্রস্ত্ততি নিয়েছে
সরকার দুর্যোগ মোকাবেলায় আগাম প্রস্ত্ততি নিয়েছে
- দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী
চট্টগ্রাম, ১১ বৈশাখ (২৪ এপ্রিল)ঃ
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, বাংলাদেশ দুর্যোগ প্রবণ দেশ। আমাদের দুর্যোগের সাথে কৌশলে লড়াই করে বাঁচতে হবে। পূর্বের মত হাজারো মৃতদেহ আর আমরা দেখতে চাই না। সরকার এজন্য দুর্যোগ মোকাবেলায় খাদ্য, বস্ত্র, গৃহনির্মাণ সামগ্রী, বিশুদ্ধ পানিসহ সব ধরণের সরঞ্জাম নিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আগাম প্রস্ত্ততি নিয়েছে।
মন্ত্রী আজ চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলা অডিটরিয়ামে উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মহসীনের সভাপতিত্বে চট্টগ্রাম-১৬ আসনের সাংসদ মো. মোসত্মাফিজুর রহমান চৌধুরী, উপজেলা চেয়ারম্যান মো. জহিরম্নল ইসলাম ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ বক্তৃতা করেন। এসময় চেয়ারম্যানগণ নিজ এলাকার কাবিখা, কাবিটা, টিআর, ব্রিজ, কালবার্ট, সাইক্লোন সেন্টারসহ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডের কথা তুলে ধরেন। মন্ত্রী বলেন, বাঁশখালীতে ১ শত টি সাইক্লোন সেন্টার রয়েছে, আরো ১ শত টি সাইক্লোন সেন্টার নির্মাণের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।
বন্যা কবলীত এলাকায় গৃহপালিত পশুপাখি নিরাপদে রাখার কথা উলেস্নখ করে মন্ত্রী বলেন, এগুলোর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুজিব কিলস্না নির্মাণ করে দিয়েছে। বর্তমানে বাঁশখালীতে ১১ টি মুজিব কিলস্না রয়েছে। এগুলো শতভাগ ব্যবহার উপযোগী করার জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশনা দেন।
দুর্যোগ প্রস্ত্ততি আরো জোরদার করার জন্য সিপিপি কর্তৃক আয়োজিত নাপোড়া শেখেরখীল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দুর্যোগ প্রস্ত্ততিমূলক মাঠ মহড়ার আয়োজন করা হয়। মহড়ায় মসজিদ, ইমাম সাহেবের আযান, বিবাহ অনুষ্ঠান, বর যাত্রী পালকিসহ কণের বাড়ি রওনার দৃশ্য, কৃষকের মাঠে ফসল কাটার দৃশ্য, লাল পতাকা উত্তোলনের কারণ, ঘূর্ণিঝড় সচেতনতামূলক গান এবং বন্যা কবলিত এলাকার দৃশ্য দেখানো হয়। এসময় সিপিপি’র কথা উলেস্নখ করে মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে সিপিপি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিপিপিকে জনবল বৃদ্ধি করে আরো শক্তিশালী ও কার্যকরী করার পরিকল্পনা নিয়েছেন। যেকোনো দুর্যোগে এরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জনস্বার্থে কাজ করে। তাদের অবদান অনেক বেশি এবং প্রশংসারযোগ্য।
বাঁশখালীর উন্নয়নের কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাঁশখালীর বেড়িবাঁধের জন্য ৩ শত ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। তিনি সবসময় বলেন, আমি বাঁশখালীর একটা মানুষও হারাতে চাই না। আপনাদের জন্য প্রধানমন্ত্রী খাদ্য, বস্ত্র নিরাপত্তা, শিÿাসহ সব ধরণের উন্নয়ন করেছেন। বাঁশখালীর জনগণের জন্য সরকারের দরদ রয়েছে। যে কারণে আমি নিজে এ বছর চার বার বাঁশখালীতে এসেছি। আগামী ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন। এ এলাকার উন্নয়নের ধারা আরো বেগবান করার জন্য নৌকায় ভোট দিয়ে পুনরায় সেবা ও উন্নয়নের সুযোগ চান ত্রাণমন্ত্রী।
এসময় তিনি দুর্যোগকালীন সময়ে ব্যবহারের জন্য হ্যান্ডমাইক সিপিপি স্বেচ্ছাসেবকদের হাতে তুলে দেন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস